Thursday, April 11, 2024

মৃত্যু-বিষয়ক অসম্পাদিত গুচ্ছ

বিপ্লব চক্রবর্তী

তাদের, ভুলের গণ্ডি অতিক্রম করে আমি ক্রমশ মৃত্যুকে জড়িয়ে নিই! মৃত্যু যেহেতু জরুরি বিষয়! পাখি ফুল পাহাড় নদী বা অবকাশের হাসি কাজ করবে স্বভাব-অনুযায়ী! 

স্তন-গুচ্ছে কোনও কাব্য ছিল না! জন্মযোনিতে লেহনের অতৃপ্তি! তাকে প্রত্যাখ্যান করে আমি গাছেদের কাছে ফিরে যাই! না! সে-এক ভুঁয়ো-শরীর! আমাকে ডাকে! আমি তার যতো ব্যর্থ যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে দিই! স্বাভাবিক তাই মৃত্যু জরুরি বিষয় হয়!

এইভাবে মৃত্যু তুমি চাওনি বলো! তাই উদ্‌ভ্রান্তের মতো বাকিদের দোষী করো! ষড়যন্ত্রের এক আস্ত শরীর খোঁজো! অপূর্ব অভিযোগ কাব্য কি তোমার প্রকাশিতব্য ছিল বলো তো!

কাল-কোলাহলের, অপরূপ মৃত্যু ঘটুক বরং! দ্যাখো; লেপ্টে আছে, কত, নিরীহ পতঙ্গ-শরীর! বে-ফালতু যার মৃত্যু কেন ঘটালে বলো!

আসন্ন মেঘের সহজ-মৃত্যু ঘটে না! দূষণ-দলের মৃত্যু ঘটুক! বিপ্লবের কোনো ছদ্মনাম নেই! তুমি অপূর্ব-গুচ্ছের প্রয়াস করেছ কোনওদিন!

মৃত্যুর খুব কাছাকাছি আমি। পথ ময়ূর কি-না তার প্রয়োজন নেই আর। না। তাকে ভেবে আর স্বমেহনের তৃপ্তি খুঁজি না রোজ! যদিও এ-কাজ, কোনো অপরাধ বলে আমি মনে করি না। আমি কাব্যময় রাষ্ট্র চাই এক।

যা কাজ আমার, এ শরীরের শহরে তা উপভোগ করি না আর। আমি মরে যেতে চাই। ছেড়ে যেতে পারি। তুমি আকাশভরা কোনো গাছ হয়ে ফিরে এসো না। মাথাভর্তি স্মৃতি-গন্ধ জোর-- চর্চার যা জরুরি সময় এখন।

তুমি আমাকে কোনো প্রশ্ন কোরো না। প্রশ্ন এলে জানো না, ফের রতি জেগে ওঠে! কী করব বলো! তোমার উত্তরের স্থানে পঙ্গু কবিতা প্রসব করে ফেলি। শেষ। কোনো প্রায়শ্চিত্ত বাকি নেই আর।

যেহেতু তা গদ্য হলো না। প্রবন্ধ পারো না স্বাভাবিক। আর কবিতা তোমার বিষয় ছিল না কোনোদিন। এক আহাম্মক অভ্যন্তরীণ আহ্বায়ক সেজে বসে আছো কেন? তুমি নিজেই জানো না কী কাজ আসল তোমার। ধোপার গাধার থেকেও ম্রিয়মাণ তুমি!

১০

তোমাদের শরীরের কোনখানে স্থান দেবো হে! ওহো! বরং লেখো, ক খ গ ঘ ঙ। ঙ ঘ গ খ ক। এভাবেও যে কবিতা হয়, তোমার মাথায় ঢুকবে না জানি। বিকলাঙ্গ অধ্যাপক।

১১

কীভাবে ক্রমশ ‘ঞ’ হয়ে যাও তুমি জানো? ক-এর বদলে ঘ তোলো। ঝ-এর স্থানে গ বসাও। অ আ ই উ এ অ্যা ও-- মৌলিক যে সুর বাজিয়েছ কি কোনোদিন? তুমি জিত ভেবে ওসব লুঠে নাও বরং! আর মৃত্যু নিবিড় পাঠ হোক আমার।

১২

মৃত্যু আরও গাঢ় হও। তোমার সঙ্গে সঙ্গম-ইচ্ছা জাগ্রত হলে সরস্বতী এসে হাজির হয়। শিশ্ন গুটিয়ে যায়। ভর্তি পাপ পুঁতে কোথায় রাখি বলো?

১৩

তোমার ঘাসের বিছানায় শুয়ে আছি সেই। যেহেতু তারা গাছ হবে না জেন। তোমাদের শেষ করে আমি অশেষ হব না যে হায়! আমার স্বপ্নে নানারূপ স্নেহ-শ্রদ্ধা-বিগলিত আবেগেরা মাখামাখি হয়ে আসে কেন রোজ? আসন্ন হলে কি মৃত্যু অতীত শরীরেরা ভেসে আসে খুব!






Tuesday, May 5, 2020

ইন্টারভিউ

বিপ্লব চক্রবর্তী


প্রাইমারি স্কুলের জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাবে মা।
 
পাড়ার এক সিপিএমকর্মী বাবাকে জিগেস করেছিল, 
কেমন করে কল পেল! 

অ। বেসিক ছিল! 


ইন্টারভিউয়ে মার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কীভাবে পায়েস রাঁধতে হয়।

*****